একান্ত আপন
দিল্লিতে কি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ফেস করেছিলাম সেটা আজ নিশ্চয় বলবো।আজ বলতে দ্বিধা নেই যে ওটা আগে জানলে দিল্লিতে কিছুতেই বিয়ে করে যেতাম না,কারণ আমার অ্যারেঞ্জ marriage ছিল।এটা ২০০০ সালের কথা তখন দিল্লিতে কি যে সাংঘাতিক লোডশেডিং হতো বলার না।একবার লাইট গেলে ১২-১৪ ঘণ্টা আসত না।আর আমার হাজব্যান্ড অফিস চলে গেলে সারাদিন অন্ধকারে আমি ভয় কাঠ হয়ে বসে থাকতাম।দিল্লিতে যারা থেকেছে তারা জানে যে ওখানকার বেশিরভাগ বাড়ি এমন করে বানানো হয় যে ভেতরে কোনো আলো আসে না।তাই যদি লাইট না থাকে তাহলে ঘর দোর সব ঘুট ঘুটে অন্ধকার।একে তো আমার ভূতের ভয় তারমধ্যে আমার বর করতো কি অফিস যাবার সময় আমায় একটা ভয়ের কবিতা বলে চলে যেত ,সেই কবিতার একটাই লাইন আমার আজ মনে আছে- অন্ধকারে স্কন্ধ কাটা নরকের কুণ্ডু তাহাতে ডুবিয়ে ধরি পাতকির মুন্ডু।
আমার তো মনে হয় এই একটা লাইন কারুর ভয় পাবার জন্য যথেষ্ঠ ছিল।আর ব্যাস আমি এবার সারাদিন ভয় পেয়ে পাথর ,একভাবে sofai বসে থাকতাম আর ওর জন্য অপেক্ষা করতাম ।প্রায় প্রাকৃতিক সব কাজ ভুলেই ওই ভাবে দরজা খুলে ওর জন্য অপেক্ষা করতাম।তবে আমি যেভাবে কাঠ হোয় থাকতাম যে ভূত ও আমায় দেখলে puzzle হয়ে গিয়ে ভাবত আমি জ্যান্ত না মরা মানুষ। কি সব ছিল সেই দিনগুলো,আজ ও মনে করলে লোডশেডিং এর ওই বিভ্তসতা আমায় ভয় পাইয়ে দেয়।শুনেছি দিল্লিতেআর এরকম হয় না।কিন্তু আমরা যে ৮ বছর দিল্লিতে ছিলাম এই অত্যাচার আমাদের সহ্য করতে হয়ছিল।তারপর মাস্কাট এ এসে হাফ ছেড়ে বেঁচেছি আমরা কারণ এখানে খুব মেজর কিছু ফল্ট হলে তবেই পাওয়ার যায় নাহলে নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন