একান্ত আপন
আমি বিয়ের পর প্রথম এ আসি দিল্লি তে।দিল্লি যাবার অভিজ্ঞতা আমার কাছে নতুন ছিল এই অর্থে যে সঙ্গে বাবা মায়ের বদলে বর রয়েছে আর যাচ্ছি রাজধানী এক্সপ্রেস এ করে।এই ট্রেনটির নাম আগে শুনলেও uকোনোদিন চড়িনি,তাই এক্সাইটমেন্ট ছিল সাংঘাতিক।সে সব কবে কারের কথা! এত বছর পরে লিখতে গিয়ে খুব বেশি করে স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়ছি।যাই হোক এবার বলি ওখানে পৌঁছে আমার প্রথম সংসার জীবনের শুরুর কথা।আমার বরের মামা দিল্লিতে থাকতো বলে ওখানে পৌঁছবার পর খাওয়া দাওয়া সব ওদের ওখানে সেরে যখন নিজের ফ্ল্যাট এ গেলাম তখন কি যে আনন্দ হয়েছিল বলার নয়।একবারে নিজের বাড়ি যেখানে আমার নিজের একটা ঘর রয়েছেএ কথাটা
এই জন্য বলছি কারন বাপের বাড়িতে আমার নিজের ঘর বলতে কিছু ছিল না বলে যখন কোনো বন্ধু আসত তখন কোনো প্রাইভেট আলোচনাই করতে পারতাম না কারণ মা নাহলে বাপি ঘুরঘুর করছে।
আর আমাদের সময় টাও সেরকম ই ছিল ,কোনো প্রেম শব্দ মুখে আনাও পাপ ছিল আর প্রাইভেট আলোচনায় একটু ওইসব থাকবে না তকি হয়! অতএব প্রাইভেট গল্পের জন্য বন্ধুদের বাড়ি ভরসা ছিল।সেইজন্যই আরো ওই কোজি ফ্ল্যাট টা আমার ভীষন পছন্দ হয়েছিলো।তখন স্মার্ট ফোন হতো না যে আমার বর ফ্ল্যাট পছন্দ করার আগে আমায় দেখাবে,ও নিজেই পছন্দ করেছিল।দুটো বড়ো ঘর ছোট্ট রান্নাঘর আর একটা বাথরুম।তাতে ফার্নিচার সব আমার শ্বশুড় বাড়ি থেকেই পাঠিয়ে ছিল।আগেকার দিনের খুব ই দামি কাঠের সব জিনিস।
তখন ও আমি দিল্লির ভয়ঙ্কর কিছু সত্যি সম্বন্ধে অবগত ছিলাম না যা পরে আমায় নাজেহাল করে ছেড়েছিল।আমি তো তখন হানিমুন যাবো গিয়ে fatehprakash palace এ থাকবো ,কি কি শপিং করবো সেই সব নিয়েই মেতে আছি।বিয়ের পর দিন পনেরো সব বাস্তব থেকে অনেক দূরে দারুন কেটেছিল দিনগুলো।সবার জীবনেই মনে হয় এ রকম ই হয়।তারপর শুরু হল সংসারের চাকায় পিষ্ট হবার পালা যা আজও অব্যাহত.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন