একান্ত আপন
একান্ত আপন
সাফারি ওয়ার্ল্ড ২ য় পর্ব
আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে ম্যাপ অনুযায়ী পার্কের বাকি অংশ দেখে ঠিক টাইম এ গেট এ পৌঁছে দেখি আমাদের সঙ্গে যারা এসেছিল তারা তখনও এসে পৌঁছয়নি।অগত্যা আমরা ওই গরম এ ওদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম কারণ শুধু আমাদের জন্য গাড়ির এসি চালাবে না বলে! পরে জেনেছিলাম ওরা ছোট্ট বাঘের ছানাকে দুধ খাইয়ে বোর করে তার সঙ্গে ফটো তুলছিল তাই আসতে দেরি হয়েছিল।
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
কিন্ত আসল চমক ছিল এর পরে।গাড়িতে যখন উঠে বসেছি তখন ও জানি না যে আমরা তখন হোটেলের উদ্দ্যেশ্যে না গিয়ে যাচ্ছি ওই পার্কের হৃদয় কে দেখতে,যেখানে অপেক্ষা করছে অনেক চমক! এখানে আমরা lion সাফারি যেমন দেখেছি তেমনি উট,জেব্রার পাল ,ভাল্লুক , ময়ূর,হরিণ ও দেখেছি।কিন্ত অবশ্যই ভালো লেগেছে lion সাফারি।
Lion সাফারির সব থেকে মন হরণ দৃশ্য ছিল একটি সিংহীর গাছের ডাল থেকে হাত পা ঝুলিয়ে ঘুমিয়ে থাকা।এরকম দৃশ্য আমি ওই প্রথম ই দেখেছিলাম।সবুজ নিস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে সে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
এর পর আমাদের হোটেলে যথা সময়ে আমাদের ড্রপ করে ড্রাইভার বলে দিল পরের দিন শার্প ৮:৩০ তে রেডি থাকতে। নেক্সট ডে আমরা যাবো ড্রিম ওয়ার্ল্ড।
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
***********************************************************************************
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
( view of 7 wonders from the toy train )
নামটা থেকেই মনে হয় বোঝা যাচ্ছে এখানে আছে এমন অনেক কিছু চাক্ষুষ করার যা আমরা কেবল বইতেই পড়েছি!
ড্রিম ওয়ার্ল্ড এর জন্য আমার হাজব্যান্ড মাল্টিপল টাইম rides এর টিকিট কেটে রেখেছিল যাতে বাচ্চারা যতবার খুশী যাতে খুশী চড়তে পারে।
আমরা প্রথম এ টয় ট্রেন এ উঠলাম,আর কি কপাল ট্রেন ছাড়ার সাথে সাথে প্রবল বৃষ্টি শুরু হল।মনে হচ্ছিল সমস্ত আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ছে, আশ পাশে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছিল না! ট্রেন এ পাশ থেকে বৃষ্টির ঝাট গায়ে লাগলেও পুরো ভিজে যায়নি।তারপর যখন আমাদের নামিয়ে দিল আমরা ছাড়াও আরো কিছু কলকাতার ই পর্যটক ওই খানেই আটকে রইলাম ভয়াবহ বৃষ্টিতে!
যেদিকে দু চোখ যায় কেও কোথাও নেই ,অঝোরে বৃষ্টি হয়ে চলেছে।আর আমরা তো আগেই ছাতা হারিয়ে ফেলেছি,তাই অসহায় হয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন গতি ছিল না!
কিন্ত হঠাৎ ই চোখে পড়ল একটা ফ্রিজ এর মধ্যে নীল,হলুদ রঙের কিছু রাখা রয়েছে, ওগুলো যে কি টা খানিক ক্ষণে র মধ্যেই বুঝতে পারলাম।ধন্য থাইদের বুদ্ধি! ওগুলো আসলে ছিল ওয়াটার প্রুফ বা রেন কোট।খুব ভালো কিছু না হলেও কাজ চালানোর মত ওই জিনিসটি তখন আমাদের কাছে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মত মনে হয়েছিল কারণ যখন আমরা সবাই মনে মনে ভাবছি ওই রকম ই একটা জিনিসের কথা, সেটাই পেয়ে যাওয়া , মানে ভাবাই যায় না!
ব্যাস আর বৃষ্টিকে ভয় না পেয়ে আমরা টয় ট্রেন স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়লাম।প্রথম দেখলাম রূপকথার গল্পের কিছু জিনিস একদম সামনে থেকে,যেখানে ছিল সিন্ডারেলা র সেই গাড়িটা যেটা করে ও গিয়ে ছিল রাজকুমারের সঙ্গে দেখা করতে,স্লিপিং বিউটি র ক্যাসল ইত্যাদি।ফ্যান্টাসি ল্যান্ড এ সব থেকে মজার লেগেছে জায়ান্ট এর বাড়ি।সেখানে ঢুকেই কানে এলো একটা ভীষন সুন্দর মিউজিক ,যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশালকায় জুতো,বিশাল একটা পেঁপে, আরো কত কি।কিন্ত যার বাড়ি সে তখন নাক ডেকে একটা বিশাল খাট এ ঘুমোচ্ছে,ভাগ্যিস......!
ক্রমশঃ
pic source: Akanto Apon
( Giant In the Giants House )
pic source: Akanto Apon
(Giants house )
pic source: Akanto Apon
(Giants house )
pic source: Akanto Apon
( Giants house )
pic source: Akanto Apon
( Giants house )
pic source: Akanto Apon
( Giants house )
pic source: Akanto Apon
pic source: Akanto Apon
monorail
pic source: Akanto Apon
veiw from the monorail
তুই এতো সুন্দর করে লিখছিস বলে আমাদের ও সবটা জানা হয়ে যাচ্ছে।খুব ভালো লাগছে পড়তে, লেখাটা চালিয়ে যা।
উত্তরমুছুন