একান্ত আপন

picture source :google

একান্ত আপন
মহালয়া চলে গেলো,আবার একটা মন খারাপ করা পূজো আসবে যখন আমার মত আরো অনেক উমা রা বাপের বাড়ি যেতে পারলো না বলে মন খারাপ করে কান্নাকাটি করবে! হ্যাঁ আমি ২০বছর কলকাতার পূজো দেখিনি।ছেলে মেয়ে এর স্কুল খোলা থাকে বলে কোনো বার ই পুজোয় কোলকাতা যাওয়া হয় না।মাস্কাট এর যে মন্দির এ দুর্গা পূজো হয় সেটা আমার বাড়ি থেকে অনেক টা দূর, আর আমি যেহেতু ড্রাইভিং জানি না তাই মন্দির যাবার জন্য আমাকে আমার হাজব্যান্ড এর ওপর ই নির্ভর করে থাকতে হয়। মানে ও যদি ফ্রী থাকে তাহলেই আমরা মন্দির এ যেতে পারি।পূজো আসে পূজো যায় কিন্তু কোনো ঢাক এর অাওয়াজ পাই না যে একটু ও মনে হবে '' উমা" এসেছে।কিন্তু একটা কথা মনে হচ্ছে, আচ্ছা এই যে আমরা টিভি কে বোকা বাক্স বলি,কিন্তু এই বাক্স ই যদি না থাকতো তাহলে আমি আমার কলকাতার পুজোর গন্ধ কোথা থেকে পেতাম! কারণ আমি টিভি তেই virtual পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে থাকি প্রতি বছর(১ বার মন্দির গিয়েছিলাম অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিতে) ।
আমার ছেলে মেয়ে র কাছে দুর্গা পূজো মানে শুধুই নতুন জামা পরা র আনন্দ বই আর কিছুই নয় কারণ ওরা কোনোদিন ই দেখেনি যে আসল এ দুর্গা পূজা কিরকম হয়,তাই মনে মনে রাগ হলেও ওদের দোষ দি না।অতএব দুর্গা পূজো এলো মানে বাড়ি তে আমি দলে একদম একা যার মনখারাপ করে মা এর কাছে যেতে পারি না বলে।
মাস্কাট এ পূজোর সমস্ত আয়োজন করে মাস্কাট বঙ্গীয় পরিষদ।শিবা টেম্পল এ দুর্গা পূজো হয়।এখানে কিন্তু শুধু উইক এন্ড এ নয়,সমস্ত তিথি মেনে পূজো করা হয় একদম ইন্ডিয়ার মত।তাই চার পাঁচ দিন আনন্দ চলতেই থাকে।এই সময় মন্দির এ খুব ই ভিড় হয়। প্রসাদ ভোগ সব ই বিতরণ করা হয় । সময় এ গেলে পাওয়া যায়।একটু খানি ভোগ পেলেই যে কি ভালো লাগে কি বলবো।আমার মা তো খুব ই দুঃখ করে আমাদের ভোগ দিতে পারে না বলে।মা প্রচুর ভোগ পায়,একা মানুষ আর কত খাবে,দিয়েও দেয় অনেক কে।
জানি না এই বছর মাস্কাট এর দূর্গা পূজো তে কি হবে, করোনা র জন্য পারমিশন পাওয়া যাবে কি না,কিছুই বুঝতে পারছি না( সব টা আমি আমার অনুভব থেকে লিখছি)! কারণ মন্দির তো এখন ও বন্ধ ই রয়েছে।তবে আমরা কেও নই,"মায়ের "যদি ইচ্ছে হয় আসার নিশ্চয় আসবেন।আবার ও একবার শারদীয়া র আনন্দে গা ভাসাবো আর মা কে বলবো,সব শত্রুর নাশ করে এই ভাবেই প্রতি বছর এসো "মা" গো আমার মাস্কাট এ।


 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ